গৌরনদী প্রতিবেদক ॥ কুৎসা রটনাকারীদের অপপ্রচার ও উৎপাতকারীদের অপতৎপরতার মুখে বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে রুপা আক্তার নামে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নরসিংহল পট্রি গ্রামের দশম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রী ও তার পরিবার।
অবিবাহিত ওই স্কুল ছাত্রী স্থানীয় ইউপি সদস্য রাসেল সরদারের লালসার শিকার হয়ে ৭ মাসের গর্ভবতি হয়েছে বলে এলাকায় অপপ্রচার চালিয়ে কুৎসা রটনাকারীরা গত কয়েক দিনে ওই স্কুলছাত্রী ও তার পিতা-মাতার জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে। অপপ্রচারকারীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করে স্কুলছাত্রী রুপা আক্তার গৌরনদী প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছে সে গর্ভবতি নয়। কুৎসা রটনা ও তা প্রচার করে যারা স্কুলছাত্রী ও তার পিতা-মাতার জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক বিচার করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন ওই স্কুল ছাত্রী। একই দাবি করেছেন স্কুলছাত্রী রুপা আক্তারের পিতা চাঁন মিয়া সরদার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ রাসেল সরদার। শনিবার দুপুরে সরেজমিন স্কুল ছাত্রী রুপা আক্তারের অবস্থান স্থল (তার এক নিকট আতœীয়ের বাসায়) বসে গৌরনদী প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে রুপা বলেন, সকাল বেলা বিভিন্ন সংবাদপত্র ও অনলাইন পোর্টালে দেখলাম আমাকে এবং উপজেলার চাঁদর্শী ইউপি’র সদস্য মোঃ রাসেল সরদারকে জড়িয়ে একটি মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে। যা খুবই দুঃখ জনক। সকলের বিভ্রান্তি দুর করতে আমি আপনাদের জানাচ্ছি যে, ইউপির সদস্য মোঃ রাসেল সরদারের সাথে আমার পবিত্র প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তার সাথে আমার কোন প্রকার অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক নেই এবং ছিল না। আমাদের এ পবিত্র সম্পর্কটিকে টেনে নিয়ে আমরা ভবিশষ্যতে বিয়ে করে দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করব এটাই ছিল আমাদের পরিকল্পনা। কিন্তু এলাকার একটি কুচক্রী মহল যারা মেম্বর রাসেলের প্রতিপক্ষ, তারা স্থানীয় কতিপয় অসৎ সাংবাদিকদের দ্বারা আমাকে ও রাসেলকে জড়িয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা কল্প কাহিনী প্রচার করে যে, আমি ৭ মাসের অন্তঃস্বত্বা। তাদের এ সংবাদের সাথে বাস্তবতার কোন সম্পর্ক নেই। আমি অত্যান্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই যে, আমি কোন প্রকার অন্তঃস্বত্বা নই। আমার বক্তব্য না নিয়ে কোন তথ্যের ভিত্তিতে তারা আমাকে অন্তঃস্বত্বা বলে প্রচার করেছে আমি বুঝতে পারছিনা। আইনের আওতায় আমি ওদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই। রুপার পিতা চাঁনমিয়া সরদার বলেন, রাসেল সরদারের সাথে আমাদের কোন খারাপ সম্পর্ক নেই। সে কখনোই আমাদেরকে ভয় দেখায়নি। রাসেলের ভয়ে নয়, আমার মেয়ের নামে কুৎসা রটনা ও অপপ্রচারকারী কতিপয় অসৎ সাংবাদিকদের উৎপাত ও তাদের অপতৎপরতা থেকে রেহাই পেতে আমরা আমাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে আতœীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। ইউপি সদস্য রাসেল সরদার বলেন, আমি কোন প্রকার অন্যায় করিনি। একটি কুৎসা রটিয়ে এলাকার একদল মতলববাজ আমাদেরকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এ অপপ্রচার তাদের সেই অসৎ পরিকল্পনার একটি অংশ। আমি অচিরেই এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনে উদ্যোগী হব এবং বিজ্ঞ আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাইব।
Leave a Reply